মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লাল গালিচায় স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইল। এর আগে ট্রাম্পকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজটি ইসরাইলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

উড়োজাহাজ থেকে নামার সময় তাকে লাল গালিচায় স্বাগত জানানো হয়। এ সময় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ উপস্থিত সকলের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন। পরে ট্রাম্প ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের উদ্দেশে রওনা হন। তিনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে সঙ্গে নিয়ে তার সাঁজোয়া গাড়ি ‘দ্য বিস্টে’ চড়ে জেরুজালেমের দিকে রওয়ানা হয়েছেন।

গাড়িতে ওঠার আগে ট্রাম্প তার কন্যা ইভাঙ্কাকে শুভেচ্ছা জানান এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ও বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপ করেন। তারা সবাই ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

নেসেটের উদ্দেশ্যে গাড়িতে ওঠার পর ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে বেশ কিছুক্ষণ পারস্পরিক আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। নেসেটে ভাষণ দেওয়ার পর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তির শীর্ষ সম্মেলনে সহ-সভাপতিত্ব করতে মিশরে যাবেন।

দুই বছরের রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান চুক্তির মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকায় শান্তির আলো দেখা দিতে শুরু করেছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রেক্ষাপটে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে সোমবার ইসরাইলে আটক থাকা সর্বশেষ জীবিত জিম্মিদের প্রথম দলটি মুক্তি দিয়েছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় আটক ওই জিম্মিদের মধ্যে সাতজনকে গাজা থেকে রেড ক্রসের তত্ত্বাবধানে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তেলআবিবের হোস্টেজেস স্কয়ারে হাজারো মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়েন। মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন নিমরোদ কোহেনের মা ভিকি কোহেন বলেন, আমি এতটাই আনন্দিত, ভাষায় বোঝানো যাবে না। সারারাত ঘুমাতে পারিনি।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাকি ১৩ জীবিত জিম্মি, নিহত ২৬ জনের মরদেহ এবং আরও দুইজনের সন্ধান মিলতে পারে সোমবারের মধ্যেই। এর পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল।